এসএম বিশাল: সন্ধা হলেই ঘন কুয়াশার চাদরে ঢেকে যাচ্ছে রাজশাহী। মঙ্গলবার ভোর ৬টা পর্যন্ত ছিলো এই ঘন কুয়াশা। তারপর সূর্যের মুখ দেখতে পায় নগরবাসী। সন্ধা থেকে ভোর সকাল পর্যন্ত কুয়াশার কারণে কাছের জিনিসও তখন দেখা যাচ্ছিলো না। কুয়াশার কারণে যানবাহন চলাচলেও অসুবিধায় পড়তে হয়েছে।
যাবাহনের হেডলাইটের আলোর সাধ্য হয়নি ঘন কুয়াশার সেই বৃত্ত ভেদ করে দেখা দিতে। তাই সবুজ বৃক্ষরাজিও যেন ধোঁয়াচ্ছন্ন রূপ ধারণ করে। শহরের পিচঢালা সড়কগুলোও ভিজেছে অগ্রহায়ণের শিশিরবিন্দুতে। বাড়ির ছাদ ও জানালার কার্নিশও কুয়াশার আস্তরণ জমেছে।
দৃষ্টিসীমা ৫০ গজের মধ্যে নেমে আসে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে দুর্ঘটনা এড়াতে গতি কমেছে ট্রেনের। এতে মানুষের নিরাপদ বাহন ট্রেনের আরামদায়ক ভ্রমণের স্বাদ সাময়িক হলেও তিক্ত হয়ে উঠে।
দুর্ঘটনা এড়াতে সন্ধা থেকে ভোর পর্যন্ত সড়ক-মহাসড়কগুলোতে ছোট-বড় যানবাহনগুলোকে চলাচল করতে দেখা গেছে হেডলাইট জ্বালিয়ে।
‘টানা মৃদু শৈত্যপ্রবাহের সামান্য বিরতি চলছে গত তিনদিন থেকে। গতকাল মঙ্গলবার সকাল থেকেই রৌদ্রোজ্জ্বল ছিল রাজশাহী।
রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রোহিদুল ইসলাম বলেন, মঙ্গলবার রাজশাহীতে সূর্যোদয় হয়েছে ৬টা ৩৭ মিনিটে। সূর্য অস্ত হবে ৫.১৭ মিনিটে। দুপুর ১২টা পর্যন্ত বাতাসের আর্দতা ছিল ৯৮ শতাংশ। তাপমাত্রা সর্বনিম্ন ১৮.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে গতকাল সোমবার সর্বচ্চো তাপমাত্রা ছিলো ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তিনি আরও বলেন, ডিসেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে রাজশাহীসহ দেশের উত্তরের বিভিন্ন জেলায় ওপর দিয়ে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এর পর পরই পুরোদমে শীত নামবে রাজশাহীতে।
তবে অব্যাহতভাবে এমন ঘন কুয়াশার পড়লে কৃষিতে ক্ষতির আশঙ্কা করছেন এ অঞ্চলের কৃষক। বরাবরই শীতে বোরো বীজতলা ও রবি ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বিশেষ করে কোল্ড ইনজুরি ও পচনসহ মড়ক বেড়ে যায়। তবে পরস্থিতি মোকাবিলায় এখন যথেষ্ট প্রস্তুতি রয়েছে বলে জানিয়েছেন রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক শামসুল হক।
ঘন কুয়াশায় আবাদ রক্ষায় করণীয় নিয়ে মাসজুড়ে তারা রাজশাহীর কৃষকদের সব ধরনের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন এ কৃষি কর্মকর্তা।
মতিহার বার্তা ডট কম: ০৮ ডিসেম্বর ২০২০
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.